রুদ্র মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহঃ এক মৃত্যুঞ্জয়ী কবির নাম
২১ শে জুন ছিল ক্ষণজন্মা বাংলাদেশের আরেক জনপ্রিয় কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ-র মৃত্যুবার্ষিকী। সত্তর ও আশির দশকের কাব্যাকাশের এক নক্ষত্রসম কবি ছিলেন তিনি। একজন আবৃত্তিকার ও গীতিকার হিসাবেও নিজের শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁর সমসাময়িক আমলে। বহুলশ্রুত তাঁর গান “ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ..........” এখনো শ্রুতাদের মুখে মুখে শোনা যায়। তারণ্যদীপ্ত দ্রোহী এক কবির প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ক্ষণজন্মা জীবনে রচেছেন সাতটি কাব্যগ্রন্থ সহ গল্প, কাব্যনাট্য ও অর্ধ শতাধিক গান। তাঁরই কবিতার লাইন - “জাতীর পতাকা আজ খামচে ধরেছে পুরনো শকুন” আজও অবিস্মরণীয় এবং আশচর্য প্রযোজ্য এই সময়ে।
বরিশাল-এর বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার মিঠেখালি গ্রামে ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবরে জন্ম তাঁর। “সোনালি শিশির” তাঁর একমাত্র গল্পের বই এবং নাট্যকাব্য “বিষ বিরিক্ষির বীজ”। মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরষ্কার পেয়েছেন ১৯৮০ সালে। বিবাহ করেন ১৯৮১ সালে আলোচিত নারীবাদী কবি-লেখিকা তসলিমা নাসরীন-কে। ১৯৮৮-তে তাদের সাত বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে এবং কবির ধরা পড়ে দূরারোগ্য বার্জার রোগ। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই জীবনাবসান হয় ক্ষণজন্মা এই দ্রোহী কবির ১৯৯১-র ২১ জুন। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ আদতেই এক মৃত্যুঞ্জয়ী কবির নাম।
(সুত্র: নুরুন্নাহার শিরীন-এর বাংলা ব্লগ)
বরিশাল-এর বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার মিঠেখালি গ্রামে ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবরে জন্ম তাঁর। “সোনালি শিশির” তাঁর একমাত্র গল্পের বই এবং নাট্যকাব্য “বিষ বিরিক্ষির বীজ”। মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরষ্কার পেয়েছেন ১৯৮০ সালে। বিবাহ করেন ১৯৮১ সালে আলোচিত নারীবাদী কবি-লেখিকা তসলিমা নাসরীন-কে। ১৯৮৮-তে তাদের সাত বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে এবং কবির ধরা পড়ে দূরারোগ্য বার্জার রোগ। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই জীবনাবসান হয় ক্ষণজন্মা এই দ্রোহী কবির ১৯৯১-র ২১ জুন। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ আদতেই এক মৃত্যুঞ্জয়ী কবির নাম।
(সুত্র: নুরুন্নাহার শিরীন-এর বাংলা ব্লগ)
পুশকিনের জন্মদিন পালিত
গত জুন মাসে রাশিয়ান ভাষা দিবস ও রুশ সাহিত্যের জনক কবি আলেকজান্ডার পুশকিনের ২১৩ তম জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্যে রাশিয়ান সাস্কৃতিক কেন্দ্র, ঢাকা, বাংলাদেশ আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের । আলোচনা সভা, স্লাইডশো উপস্থাপন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিন টি । আলেকজান্ডার পি. ডেমিন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে সাবেক বিচারপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ছিলেন প্রধান অতিথি । অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুন, সৈয়দ শামসুল হক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান এম্বেস্যাডার আলেকজান্ডার এ. নিকোলেভ।
নির্মলেন্দু গুন বলেন, “পুশকিন ছিলেন বিশ্বের অন্যতম কবিদের একজন। যদিও, বিশ্বের ইংরেজী ভাষাভাষিদের এক বিরাট অংশের কাছে তাঁর অবদান অজানা তবুও পশ্চিমা সাহিত্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছেন তিনি।”
বাংলাদেশে কবি ও সাহিত্যিকেগণ সব সময়ই পুশকিন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন সৈয়দ শামসুল হক। তিনি আরো বলেন, “তাঁর সমসাময়িক আমলে পুশকিন সমাজ সংস্কারক হিসাবে আবির্ভূত হন এবং তিনি ছিলেন সাহিত্য আন্দোলনের পুরধা ব্যক্তিত্ব।”
স্লাইডশো উপস্থাপন, বিভিন্ন ছড়া আবৃত্তি ও বাংলাদেশে ফাইন আর্টস একাডেমীর নৃত্যশিল্পীদের নৃত্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
পুশকিন ৬ই জুন, ১৭৯৯ সালে মস্কোর এক অভিজাত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন এবং ১০ ফেব্রুয়ারী, ১৮৩৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
পা পিছলে পড়ে গেল নারী
তার কলস গেল ভেঙ্গে
জল গড়িয়ে পড়ল পাথরের বুক বেয়ে।
ভাঙ্গা কলসের টুকরা হাতে সে বসে রইল বিষন্নভাবে।
আশ্চর্য, ভাঙা-কলস থেকে চিরকাল জল পড়ে
আর বিষন্না রমনী ধরে থাকে অন্তহীন নদী।
[অলেকজান্ডার পুশকিন, অনুবাদ: শৈলেনকুমার দত্ত]
নির্মলেন্দু গুন বলেন, “পুশকিন ছিলেন বিশ্বের অন্যতম কবিদের একজন। যদিও, বিশ্বের ইংরেজী ভাষাভাষিদের এক বিরাট অংশের কাছে তাঁর অবদান অজানা তবুও পশ্চিমা সাহিত্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছেন তিনি।”
বাংলাদেশে কবি ও সাহিত্যিকেগণ সব সময়ই পুশকিন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন সৈয়দ শামসুল হক। তিনি আরো বলেন, “তাঁর সমসাময়িক আমলে পুশকিন সমাজ সংস্কারক হিসাবে আবির্ভূত হন এবং তিনি ছিলেন সাহিত্য আন্দোলনের পুরধা ব্যক্তিত্ব।”
স্লাইডশো উপস্থাপন, বিভিন্ন ছড়া আবৃত্তি ও বাংলাদেশে ফাইন আর্টস একাডেমীর নৃত্যশিল্পীদের নৃত্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
পুশকিন ৬ই জুন, ১৭৯৯ সালে মস্কোর এক অভিজাত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন এবং ১০ ফেব্রুয়ারী, ১৮৩৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
পা পিছলে পড়ে গেল নারী
তার কলস গেল ভেঙ্গে
জল গড়িয়ে পড়ল পাথরের বুক বেয়ে।
ভাঙ্গা কলসের টুকরা হাতে সে বসে রইল বিষন্নভাবে।
আশ্চর্য, ভাঙা-কলস থেকে চিরকাল জল পড়ে
আর বিষন্না রমনী ধরে থাকে অন্তহীন নদী।
[অলেকজান্ডার পুশকিন, অনুবাদ: শৈলেনকুমার দত্ত]
কবি আল মাহমুদ
” যারাই দেখতে আসে সবাই প্রশ্ন করে আমি কী ভাবছি। আমি বলি কী আর ভাববো। নিজেকে নিয়েই এখনও চিন্তাভাবনা করি। আমার চিন্তার কোনো নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু থাকে না। আর থাকলেও আমি তা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে পারি না। জীবন কেটে যায়। উদয় ও অস্তের অনুভব আমার মধ্যেও দিনযাপনের একটা পুলক সৃষ্টি করে। আমি বসে থেকে আর কিছু করতে না পারলেও একটা লেখা শুরু করে দেই। লেখাটা গড়িয়ে যায়। চলতে শুরু করে এবং বলতে বলতে চলতে থাকে। এটা ঠিক যে, আমি থামতে জানি। কখনও ঘামতে ঘামতে সমে এসে ভ্রমের সঙ্গে মিশে যায়। এই লেখাটি আমার কান্না-হাসির আনন্দ এক অকারণ পুলক সৃষ্টি করে। আমি সৃজনের আনন্দ, সুখ, শান্তি একই সঙ্গে ভ্রান্তি ও ক্লান্তি অনুভব করি। আমি সবসময় মনে রাখি আমার অন্তরাত্মা কবিতায় সমাচ্ছন্ন। আমি কবি। স্বপ্নেও কবি, জাগরণেও কবি। কাব্য আমার স্বভাব, অভাব এবং প্রভাব। ক্রমাগত আবর্তিত করে এক ঘূর্ণায়মান চৈতন্যের বৃত্তে, সৃজনশীল রাখে। আমি এ অবস্থায় সদা আবর্তিত থাকি। এর মধ্যেই আমার সৃজনকৌশল স্ফুর্তি পায়।".............. কবি আল মাহমুদ
কবি আল-মাহমুদ বাংলাদেশের অন্যতম কবিদের একজন। ১৯৬৩ সলে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’লোক লোকান্তরে’ প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি কবি হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন । পরবর্তীতে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কালের কলস (১৯৬৬)’, ’সোনালী কাবিন (১৯৬৬ ’, ’মায়াবী পর্দা দোলে উঠে (১৯৭৬)’ বাংলদেশের খ্যাতনামা কবিদের মাঝে তাঁর আসন পোক্ত করে। তাছাড়া তিনি ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ লিখেছেন। তার রচিতা প্রবন্ধ “পানকৌড়ির রক্ত” বিশেষ খ্যাতি লাভ করে। তিনি তাঁর লেখনিতে আঞ্চলিক গদ্যরীতি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্দে (১৯৭১) তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল ।
১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলায় কবি জন্ম গ্রহন করেন। গত ১১ জুলাই যথাযোগ্য মর্যাদায় কবির জন্মদিন পালিত হয়। ‘সেঁজুতি’-র পক্ষ থেকে কবির প্রতি রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
কবি আল-মাহমুদ বাংলাদেশের অন্যতম কবিদের একজন। ১৯৬৩ সলে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’লোক লোকান্তরে’ প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি কবি হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন । পরবর্তীতে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কালের কলস (১৯৬৬)’, ’সোনালী কাবিন (১৯৬৬ ’, ’মায়াবী পর্দা দোলে উঠে (১৯৭৬)’ বাংলদেশের খ্যাতনামা কবিদের মাঝে তাঁর আসন পোক্ত করে। তাছাড়া তিনি ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ লিখেছেন। তার রচিতা প্রবন্ধ “পানকৌড়ির রক্ত” বিশেষ খ্যাতি লাভ করে। তিনি তাঁর লেখনিতে আঞ্চলিক গদ্যরীতি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্দে (১৯৭১) তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল ।
১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলায় কবি জন্ম গ্রহন করেন। গত ১১ জুলাই যথাযোগ্য মর্যাদায় কবির জন্মদিন পালিত হয়। ‘সেঁজুতি’-র পক্ষ থেকে কবির প্রতি রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।