কুর্নিশ জানিয়ে
কলম তুলে রাখলাম।
এবার লিখতে হলে,
শুধু নিজের জন্যই লিখব।
আলপথের মত –
গলি, তস্য গলি বেয়ে
যে আকাশটা চলে যায় –
তার শেষ দেখতে চাই।
আমি সেই আকাশটাকে খুঁজব –
যে আকাশে দুটো তাল ঢ্যাঙা গাছ
হেলান দিয়ে গল্প করে,
আলোর রেণু কুড়িয়ে নিয়ে
সর্ষে ক্ষেতে সোহাগ ঝড়ে।
সেই নদীটা খুঁজব –
দিনান্তের ক্লান্তির কাপড় কেঁচে এক ডুব শান্তি দেয় যার জল।
সেই বাতাসে উড়ব –
যার বাস
কোজাগরী ঘাম-রক্ত-লড়াই আর
প্রেমে মাখামাখি।
সভ্যতার জুতো খুলে
একবার খালি পায়ে নামতে চাই
বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে,
নিজের সবটুকু দিয়ে
যে মাটি কর্ষণ করে –
সাহিত্যের সাবজেক্ট।
এক একটা দিনের নিরজাস দিয়ে
ধুয়ে নেব
আমার কবিতা লেখার খেরোর খাতা,
কলম থেকে খুলে নেব
আমিত্বের নিব –
তারপর,
হয়তো আবার লিখব
সাবজেক্টের ইতিহাস
অথবা –
ইতিহাসের সাবজেক্ট নিয়ে,
নষ্ট ফুলের পরাগ, আর
কষ্ট ভেজা আর্তি দিয়ে।