আটপৌরে অবয়বে এবারের সাতকাহন আপনাদের সামনে হাজির হলো। কবি ও কাব্যপ্রেমী বন্ধুদের প্রত্যাশা পূরণে সাতকাহন কতটুকু সফল হতে পারবে জানিনা তবে আশা করছি বরাবরের মতো এ সংখ্যার কবিতাগুলোও আপনাদের মনোরঞ্জনে সামর্থ্য হবে। কবিবন্ধুদের কাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশী সাড়া পেয়ে সত্যি খুবই আনন্দিত এবং সবাইকে এ জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি। আর আমার সম্মানিত পাঠকবন্ধুদের একটি কথা’ই বলবো যে, কবিতার মান বিচার না করে কবি মনের কাব্যিক প্রকাশকে মূল্যায়ন করছি বলে সকল কবিবন্ধুদের কবিতা স্থান পাচ্ছে সাতকাহনে। এ জন্য ভুলভ্রান্তি থাকাটা স্বাভাবিক। আপনারা নিজগুণে ব্যাপারটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। নিয়মিত লেখেন এমন কিছু কবিবন্ধুর কবিতা এ সংখ্যায় পাওয়া গেলনা। কোন কবি বন্ধু কোন কারণে কষ্ট পেলে আমাকে ক্ষমা করবেন এবং অবশ্যই আপনার কষ্টের কারণ আমাকে জানাবেন।
সময় এবং কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে “কবি ও কবিতার গল্প” পাতার আয়োজন খুবই সামান্য। তবে কবি নজরুলের সৈনিক জীবনের উপর প্রথমআলো থেকে সংগৃহিত লেখাটি আপনাদের কবি নজরুর সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্যের সাথে পরিচয করিয়ে দেবে এবং আশা করছি প্রবন্ধটি আপনাদের খুব ভালো লাগবে। গত ১৭ আগস্ট প্রয়াত কবি শামসুর রাহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। বংলাদেশের স্বনামধন্য এ কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী নিয়ে সাজানো হলো “কবি পরিচিতি’ পাতা। তাছাড়া কবি রফিক আজাদের কবিতা “প্রতীক্ষা” এবং যথারীতি শিমুল মোস্তাফার আবৃত্তি দিয়ে এবারের “প্রিয় কবিতা”-র আয়োজন। শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষাই মুক্তি। নিরক্ষরতা মানে’ই অন্ধত্ব। আমাদের এ উপমহাদেশের বিস্তৃত বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো শতসহস্র মানুষ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। একবিংশ শতাব্দীর এ মূহূর্তে বিজ্ঞানের উন্নতি যখন চরম পর্যায়ে সেখানে এখনো কিছু মানুষ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত এটা সত্যিই ভাবতে কষ্ট হয়। এ অবস্থায় অনেক নিবেদিত প্রাণ মানুষ নিজের জীবন উৎসর্গ করে যাচ্ছেন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে । ৭ই সেপ্টেম্বর “আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস”। আসুন মহান এ দিবসে আমরাও চেষ্টা করি আমরা আমাদের অবস্থান থেকে শিক্ষার আলো বিলিয়ে দেয়ার দলে সামিল হতে। যে সব মানুষ যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এ পৃথিবীর নিরক্ষর মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে তাঁদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইল এবং সাতকাহনের এ সংখ্যা তাঁদের প্রতি উৎসর্গ করা হলো। বসন্ত ঋতুর পর’ই বোধ হয় শরৎ ঋতু আমাদের কবি মনে নুতন ছন্দ জাগায়। তবে প্রতিটি ঋতুই আসলে স্ব-মহিমাদয় উদ্ভাসিত। শরতের শিউলিঝরা ভোর অথবা শরতের নীলাকাশ, কাশফুল ইত্যাদি প্রকৃতিগতভাবে একজন কবিকে আরো বেশী করে কবি করে তোলে । এ শরতে কবিবন্ধুদের কলম থেকে আরো সুন্দর সুন্দর কবিতার জন্ম হবে এবং আমাদের সাতকাহন সে কবিতাগুলোর পশরা নিয়ে আপানাদের সামনে হাজির হবে আগামীতে এ প্রত্যাশা রইল । সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা । |
সাতকাহনের কবিগণ
|