আবার ভোর দেখবো এই আকাঙ্খায়
নাকি তুমি তোমার নিরব অই দৃষ্টি যা
সমুদ্র বিটোফেন উপেক্ষা করে চলে যায়
সফল ঘুড়ি দুর্লভ পাখির চেয়ে উড়ে যায়
যে এক ট্রেন দাঁড়িয়ে নিয়ে একমাত্র যাত্রী
অপেক্ষমান অনন্ত
আর ফিরবে না
জেনেও এই প্রতীক্ষার নাম দেই ভালবাসা
সকলেই অন্তত একবার পান করে শখের হেমলক
সক্রেটিস প্লেটোর মত উচ্চারণ করে
“বেঁচে থাকাই সত্য নয় প্রেমেই ...”
আমার না দেখা স্বপ্নটা এরকমই ছিল প্রায়
তাজা ভোরের শীতমাখা আলোর মত
চিরকুমারী প্রেমিকার মত যে তৃতীয় প্রেমিকের
খুন হওয়া মানতে পারে নি
তার উদাস দৃষ্টির পানে চেয়ে আগুন ও বরফ
প্রাক্তন প্রেমিকদ্বয়
জ্বলে যায়
গলে যায়
বলে যায়
নিরপেক্ষ সান্ত্বনার বানী
“মৃত্যুই সত্য আর সব ...”
বিকেলটা ধূসর সন্ধ্যার দিকে যায়
এবং সেই রাত যার জন্যে
ঘৃণা ছাড়া আর কোন প্রেম অবশিষ্ট নেই
গোপনে তাকে লেখা চিঠিটা ছুঁড়ে দেই
শাদা বিড়ালটার মুখে কেবল এই একটি প্রাণী
আমায় বোঝে এবং ঈশ্বরও নয়
অতঃপর
মধ্যরাতটাই যখন বলা বাহুল্য অতৃপ্ত
উঠে আসে প্রিয়তমার কপালে চুমু খায়
প্রিয় ভেবে আমি চোখকে জেগে রাখি
আমার অযাচিত জীবনটা এরকমই ছিল
প্রকৃতপক্ষে
স্থির ও চলা দুটোই সত্য হতে পারে একই সাথে
যখন প্রার্থনা ও যুক্তি উভয়ই স্বর্গে যেতে চায়