কেউ আমায় খারাপ বললেও মনের ভিতর ধুলো রয়না,
আমি পাখিদের ভাষা বুঝিনা, যদিও হয় তাদের সাথে
সকাল, রাত্রি, বিকালে আনন্দময় বা বিষাদের কথপকথন
অনাসৃষ্ট জংলা ফুলেও কি জমে আছে মহাকব্যিক কোন
না বোঝা জীবন?
বাতাসের চাদর গায়ে জড়িয়ে নিসর্গ করে বির্নিমাণ
অধরা ব্যাখাহীন এক সুন্দর
নিজের সাথে নিজে পুড়ে, পোড়া ছাইয়েও জীবন নিরন্তর-
চলে গেলে ফেলে যায় ছায়া মানব সম্পর্ক, তবুও আসে
গাড় থেকে গাড় এক গভীরতা,
মধ্য জীবন, পৌরণিক অপ্রাপ্তি, পৌরণিক অভ্যাসের নির্জনতা!
বহু আগেই ছেড়ে গেছে সভ্যতা তবুও মানুষ সভ্য ও নগ্ন
কেবল মাটি, বায়ু, সরল সবুজ করে বরষা উৎসব
বোধের মানুষ তখন কেবল নিজের ভিতরই মগ্ন-
সেই জীবন টানেনা আমাকে, যেমন টানেনা প্রেমিকার
অনিন্দ্য সুন্দর শরীর,
আমি যাই না কোথাও- নগরের কাছে, গ্রামেদের কাছে
কেবলই জীবন খোজার উৎসব
হায়, তবুও কখনও কখনও দেখি জীবন ও প্রেমিকা বসে
আছে, ফেলে আসা ছায়াতেই নিবিড় !
তবেকি ভুল ছিল সভ্যতার, তবে কি রংহীন অসভ্যতা
কোথাও ভুল নেই, কোথাও শুদ্ধ নেই,
জীবন জলের গায়ের লিখা কবিতা?